The Little Red Hen
English Folk Tale
..................................
ছোট্ট লাল মুরগী -০২
ধুর্ত শেয়াল থলেটা নিয়ে ছোট্ট লাল মুরগীর ঘরের বাইরে সুযোগের অপেক্ষায় রইল।
লাল মুরগীছানাটা বনে গিয়েছিল কাঠ কাটতে। তার মাথায় কাঠের বোঝা নিয়ে সে ফিরল। ঘরে ঢুকার সময় তার দরজাটা একটু খোলা রইল।
এই সুযোগে ধূর্ত শেয়াল মুরগীর ঘরে ঢুকে পড়ল। মুরগীছানাটা পেছন ফিরে তাকে দেখল না।
দরজার পেছনে সে লুকিয়ে রইল।
মাথায় কাঠির বোঝা নিয়ে ঘরে ঢুকে ধপ করে মুরগীছানা দরজা বন্ধ করে দিল।
দরজা বন্ধ করে দেখে ধূর্ত শেয়াল তার মোটা লেজ ফুলিয়ে বসে আছে।
তাড়াতাড়ি লাফ দিয়ে লাল মুরগীছানা উচু বিমের উপড় উঠে বসল।
'এই যে জনাব শেয়াল, তুমি এবার যেতে পার। এখানে তুমি কিছুতেই আমাকে ধরতে পারবে না।' মুরগীছানা উচু গলায় বলল।
'তা দেখা যাবে।' বলল ধুর্ত শেয়াল।
তারপর সে তার লেজ নাড়তে লাগল।
ঘরের চারপাশে সে ঘুরতে লাগল।
ছোট্ট লাল মুরগী এটা দেখতে দেখতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ল। শেয়ালের সাথে সাথে তার চোখগুলোও ঘুরছিল সারা ঘরময়।
তার চোখে প্রচুর ঘুম নেমে এল। এক সময় সে বিম থেকে পড়ে গেল।
ধূর্ত শেয়াল তাড়াতাড়ি মুরগীছানাটিকে তার থলেতে ঢুকিয়ে পাহাড়ে অবস্থিত তার গুহার দিকে দৌড় দিল।
কিন্তু লাল মুরগীছানার মাথায় ছিল অন্য এক বুদ্ধি।
সে তার পকেট থেকে দাড়াল ছুরিটা বের করল। ছোট্ট একটা গর্ত কেটে থলে থেকে বেরিয়ে পড়ল।
তারপড় সে বড় একটা পাথর তার থলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ধুর্ত শেয়াল তার গুহায় এসে পৌছাল।
'মা! মা! পানি গরম করেছ?'
'হ্যা পানি খুব গরম হয়েছে।'
তারপর সে ধপাস করে থলেতে খুলে মুরগীটা পানির মধ্যে ফেলল।
কিন্তু এটাতো মুরগী না। বড় একটা পাথর।
পাথরটা পানির মধ্যে ধপাস করে পড়তে গরম পানি সব ধুর্ত শেয়াল আর তার মায়ের উপড় পড়ল।
এতে তারা পুড়ে মারা গেল।
এরপর থেকে ছোট্ট লাল মুরগী তার ঘরে খুব আনন্দে দিন কাটাতে লাগল।
সমাপ্ত
The wolf and the seven young kids-02
The Wolf and the seven Young Kids
William and Jacob Grimm
................................
নেকড়ে এবং সাত ছাগলছানা-০২
প্রথমটা লুকাল টেবিলের নিচে, দ্বিতীয়টি লুকাল বিছানার নিচে, তৃতীয়টা লুকাল চুলার মধ্যে, চতুর্থটা লুকাল রান্নাঘরে, পঞ্চমটা লুকাল আলমারীতে, যষ্টটা লুকাল ওয়াশটাবে। আর সপ্তমটা ছিল সবচেয়ে ছোট। সে লুকাল লম্বা ঘরিটার পেছনে।
নেকড়ে তাদের খুজে পেতে দেরি করল না। পটাপট তাদের গিলে ফেলল। বাকী রইল সবচেয়ে ছোটটা যে লম্বা ঘরিটার পেছনে লুকিয়েছিল।
পেটপুরে খাওয়ার পর নেকড়ে খুব নিদ্রা অনুভব করল। ঘর থেকে বের হয়ে নরম ঘাসের উপর শুয়ে পড়ল এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ল।
একটু পরেই বুড়ো ছাগীটা বন থেকে ঘরে ফিরল।
হায় হায়! দরজা খোলা কেন? আমার বাচ্চাগুল ক্ই? ঘরের সব জিনিস অগোচালো হয়ে আছে। টেবিল চেয়ার সবকিছু ওলট পালট হয়ে আছে।
ওয়াশটাবটা ভে্ংগে টুকরা টুকরা হয়ে আছে। বিছানা ওল্টানো।
আমার বাচ্চাগুলো কই? কাদতে লাগল বুড়ো ছাগীটি।
William and Jacob Grimm
................................
নেকড়ে এবং সাত ছাগলছানা-০২
প্রথমটা লুকাল টেবিলের নিচে, দ্বিতীয়টি লুকাল বিছানার নিচে, তৃতীয়টা লুকাল চুলার মধ্যে, চতুর্থটা লুকাল রান্নাঘরে, পঞ্চমটা লুকাল আলমারীতে, যষ্টটা লুকাল ওয়াশটাবে। আর সপ্তমটা ছিল সবচেয়ে ছোট। সে লুকাল লম্বা ঘরিটার পেছনে।
নেকড়ে তাদের খুজে পেতে দেরি করল না। পটাপট তাদের গিলে ফেলল। বাকী রইল সবচেয়ে ছোটটা যে লম্বা ঘরিটার পেছনে লুকিয়েছিল।
পেটপুরে খাওয়ার পর নেকড়ে খুব নিদ্রা অনুভব করল। ঘর থেকে বের হয়ে নরম ঘাসের উপর শুয়ে পড়ল এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ল।
একটু পরেই বুড়ো ছাগীটা বন থেকে ঘরে ফিরল।
হায় হায়! দরজা খোলা কেন? আমার বাচ্চাগুল ক্ই? ঘরের সব জিনিস অগোচালো হয়ে আছে। টেবিল চেয়ার সবকিছু ওলট পালট হয়ে আছে।
ওয়াশটাবটা ভে্ংগে টুকরা টুকরা হয়ে আছে। বিছানা ওল্টানো।
আমার বাচ্চাগুলো কই? কাদতে লাগল বুড়ো ছাগীটি।
The wolf and the seven young kids-01
William and Jacob Grimm
..........................................................
নেকড়ে এবং সাত ছাগলছানা
এক বুড়ো ছাগীর সাতটা ছানা ছিল। অন্য ভাল মাদের মত ছাগলটি তার বাচ্চাগুলোকে খুব ভালবাসতো।
একদিন বুড়ো ছাগী জঙ্গলে গিয়ে তার বাচ্চাদের জন্য কিছু খাবার আনতে চাইল।
জঙ্গলে যাওয়ার পূর্বে সে তার বাচ্চাদের ডেকে বলল:
প্রিয় বাচ্চারা , আমি বনে যাচ্ছি।
তোমরা কিন্তু কিছুতেই আমি না আসা পর্যন্ত ঘরের দরজা খুলবে না
যদি বুড়ো নেকড়েটা কোনভাবে ঘরে ঢুকে যেতে পারে , তাহলে তোমাদের আস্ত রাখবে না। তোমাদের সম্পূর্ণ গিলে খাবে। একটি লোমও রাখবে না।
তোমরা কিন্তু তাকে দেখে সহজেই চিনতে পারবে। তার গলার স্বর খুব কর্কশ আর পা দুটো কালো।
বাচ্চারা সবাই একসাথে বলে উঠল: ঠিক আছে মা, আমরা খুব সতর্ক থাকবো। নেকড়েকে কিছুতেই ঢুকতে দেব না।
তুমি আমাদের নিয়ে চিন্তা করোনা। আমরা খুব নিরাপদে থাকব।
বুড়ো ছাগী নিশ্চিন্তে বনে গেল।
লাল মুরগী ছানা-০১
কোন এক সময় ছোট্ট লাল একটি মুরগী ছিল।
সে জঙ্গলে একটি ঘরে একাকি বাস করত।
ঘরটির পাশে পাহাড়ের কোল ঘেষে বাস করত এক চতুর বৃদ্ধ শিয়াল।
চতুর বৃদ্ধ শেয়ালের সাথে সে গুহায় তার মাও বাস করত।
চতুর বৃদ্ধ শেয়ালটি অনেকবার লাল ছোট্ট মুরগীটিকে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ছোট্ট লাল মুরগীটি ছিল জ্ঞানী।
তাই জনাব শেয়াল তাকে ধরতে পারেনি।
সে বার বার চেষ্টা করল, কিন্তু লাল মুরগী ছানাটি এত চালাক ছিল সে কিছুতেই ধরতে পারল না।
ধুর্ত শেয়াল চিন্তা করতে করতে অস্তির হয়ে গেল।
একদিন সে তার মাকে বলল:
মা, মুরগীর বাচ্চাটাকে ধরার জন্য আমি একটা বুদ্ধি করেছি। আমি থলেটা নিয়ে যাচ্ছি। এটাতে করে মুরগির বাচ্চাটাকে ধরে আনবো তুমি ইতোমধ্যে চুলাটা জ্বালাও। রাতে আমরা ওটা দিয়ে ডিনার করব।
সে জঙ্গলে একটি ঘরে একাকি বাস করত।
ঘরটির পাশে পাহাড়ের কোল ঘেষে বাস করত এক চতুর বৃদ্ধ শিয়াল।
চতুর বৃদ্ধ শেয়ালের সাথে সে গুহায় তার মাও বাস করত।
চতুর বৃদ্ধ শেয়ালটি অনেকবার লাল ছোট্ট মুরগীটিকে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ছোট্ট লাল মুরগীটি ছিল জ্ঞানী।
তাই জনাব শেয়াল তাকে ধরতে পারেনি।
সে বার বার চেষ্টা করল, কিন্তু লাল মুরগী ছানাটি এত চালাক ছিল সে কিছুতেই ধরতে পারল না।
ধুর্ত শেয়াল চিন্তা করতে করতে অস্তির হয়ে গেল।
একদিন সে তার মাকে বলল:
মা, মুরগীর বাচ্চাটাকে ধরার জন্য আমি একটা বুদ্ধি করেছি। আমি থলেটা নিয়ে যাচ্ছি। এটাতে করে মুরগির বাচ্চাটাকে ধরে আনবো তুমি ইতোমধ্যে চুলাটা জ্বালাও। রাতে আমরা ওটা দিয়ে ডিনার করব।
জঙ্গলের শিশুরা-০৬
সকাল হয়ে গেছে। সোনালী আলো গাছের ফাঁক দিয়ে তাদের দিকে উঁকি মারছে। কিন্তু শিশুরা এখনও পরস্পর জড়াজড়ি করে শুয়ে আছে। তাদের ঘুম কিছুতেই শেষ হয় না। সূর্য আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হল কিন্তু তারা এখনও ঘুমিয়ে। তারা একটুও নড়াচড়া করছে না,তাদের চোখের পাতাও নড়ছে না। কারন তারা ঘুমের মধ্যেই মারা গেছে। তাদের সকল সমস্যার শেষ হয়েছে।
যখন রবিন পাখি আর কাঠবেড়ালী পাতার ফাঁক দিয়ে তাদের এই অবস্থা দেখতে পেল তারা তাদের জন্য খুবই বেদনা অনুভব করল। তারা জানে যে এ নিষ্পাপ শিশুদুটি মারা গিয়েছে। তারাতো তাদের জন্য কবরও খুড়তে পারবে না। নিজেদের ঠোটে করে তারা কিছু পাতা নিয়ে আসলো আর বাচ্চা দুটিকে তা দিয়ে ঢেকে দেয়ার চেষ্টা করল।
এভাবে তারা তাদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাল। খুব শান্তভাবে তারা বাচ্চাদুটিকে পাতার আবৃত করল। সময়ের ব্যবধানে বসন্তের পাতার নিচে অসহায় দুই সহোদর চাপা পড়ল। রবিন তার শোকের গান গাইল। কাঠবেড়ালী আর খরগোশ এত দুঃখ পেল যে তারা তাদের খেলার কথা সেদিনের জন্য ভুলে গেল।
তাদের দুষ্ট চাচা তার অসদোপায়ে অর্জিত অর্থ খুব ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারেনি। সেদিন থেকে কোন সৌভাগ্য তাকে আর ধরা দেয়নি। যে ডাকাতটি বাচ্চাগুলোকে জঙ্গলে রেখে এসেছিল সে অন্য একটা ঘটনায় মৃত্যু দন্ড পেল। তার সকল কর্মের কথা সে তখন প্রকাশ করে দিল। তাই জঙ্গলের শিশুদের এ দুঃখের কাহিনী মুখে মুখে হয়ে গেল। সবাই তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করল। দুষ্ট চাচাকে নিয়ে জনগনকে কিছুই করতে হল না। ধীরে ধীরে সে তার অন্যায়ভাবে অর্জিত সব সম্পদ হারালো এবং খুব অভাবের মধ্যে মারা গেল।
যখন রবিন পাখি আর কাঠবেড়ালী পাতার ফাঁক দিয়ে তাদের এই অবস্থা দেখতে পেল তারা তাদের জন্য খুবই বেদনা অনুভব করল। তারা জানে যে এ নিষ্পাপ শিশুদুটি মারা গিয়েছে। তারাতো তাদের জন্য কবরও খুড়তে পারবে না। নিজেদের ঠোটে করে তারা কিছু পাতা নিয়ে আসলো আর বাচ্চা দুটিকে তা দিয়ে ঢেকে দেয়ার চেষ্টা করল।
এভাবে তারা তাদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাল। খুব শান্তভাবে তারা বাচ্চাদুটিকে পাতার আবৃত করল। সময়ের ব্যবধানে বসন্তের পাতার নিচে অসহায় দুই সহোদর চাপা পড়ল। রবিন তার শোকের গান গাইল। কাঠবেড়ালী আর খরগোশ এত দুঃখ পেল যে তারা তাদের খেলার কথা সেদিনের জন্য ভুলে গেল।
তাদের দুষ্ট চাচা তার অসদোপায়ে অর্জিত অর্থ খুব ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারেনি। সেদিন থেকে কোন সৌভাগ্য তাকে আর ধরা দেয়নি। যে ডাকাতটি বাচ্চাগুলোকে জঙ্গলে রেখে এসেছিল সে অন্য একটা ঘটনায় মৃত্যু দন্ড পেল। তার সকল কর্মের কথা সে তখন প্রকাশ করে দিল। তাই জঙ্গলের শিশুদের এ দুঃখের কাহিনী মুখে মুখে হয়ে গেল। সবাই তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করল। দুষ্ট চাচাকে নিয়ে জনগনকে কিছুই করতে হল না। ধীরে ধীরে সে তার অন্যায়ভাবে অর্জিত সব সম্পদ হারালো এবং খুব অভাবের মধ্যে মারা গেল।
সমাপ্ত
জঙ্গলের শিশুরা-০৫
ইতোমধ্যে বেচারা বাচ্চারা গাছের নিচে ডাকাতের ফেরার জন্য অধির আগ্রহে প্রতীক্ষা করছে। বেশ কিছু সময় পার হয়ে গেলে তারা নিশ্চিত হয়ে গেল ডাকাতটা আর ফিরবে না।
ছোট্ট বালকটা তার বোনকে বলল:
'হে বোন আমরা এখানে একদম একা। আমরা অবশ্যই এই গভীর বন থেকে বের হবার চেষ্টা করব।'
ছোট্ট মেয়েটা কাঁদতে শুরু করল। কারণ তার যথেষ্ট ক্ষিদে পেয়েছে। তাছাড়া সে খুবই ক্লান্ত। কিছুতেই সে পা বাড়াতে পারছে না। তার ভাই তাকে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ভাইটা নিজের কান্নাটা অনেক কষ্টে থামিয়ে বোনকে সাহস দিচ্ছে। দুজনে তারা এই গভীর জঙ্গল থেকে বের হওয়ার জন্য সামনের দিকে হাটছে।
কিন্তু প্রতি পদক্ষেপে তারা নিজের অজান্তে আরও গভীর জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল। এবং এক সময় সূর্য ডুবে গিয়ে রাত নেমে এল।
এক এক করে আকাশের তারাগুলো উদয় হল। ছোট্ট মেয়েটার কান্না থামছে না। সে বলল:
ভাইয়া আমি আর যেতে পারবো না। আমরা কি পুরো রাত এই গভীর জঙ্গলে কাটাবো?
ছোট্ট বালকটা তার বোনকে বলল:
'হে বোন আমরা এখানে একদম একা। আমরা অবশ্যই এই গভীর বন থেকে বের হবার চেষ্টা করব।'
ছোট্ট মেয়েটা কাঁদতে শুরু করল। কারণ তার যথেষ্ট ক্ষিদে পেয়েছে। তাছাড়া সে খুবই ক্লান্ত। কিছুতেই সে পা বাড়াতে পারছে না। তার ভাই তাকে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ভাইটা নিজের কান্নাটা অনেক কষ্টে থামিয়ে বোনকে সাহস দিচ্ছে। দুজনে তারা এই গভীর জঙ্গল থেকে বের হওয়ার জন্য সামনের দিকে হাটছে।
কিন্তু প্রতি পদক্ষেপে তারা নিজের অজান্তে আরও গভীর জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল। এবং এক সময় সূর্য ডুবে গিয়ে রাত নেমে এল।
এক এক করে আকাশের তারাগুলো উদয় হল। ছোট্ট মেয়েটার কান্না থামছে না। সে বলল:
ভাইয়া আমি আর যেতে পারবো না। আমরা কি পুরো রাত এই গভীর জঙ্গলে কাটাবো?
জঙ্গলের শিশুরা-০৪
ছোট্ট এ এতিম শিশুরা এত বেশী ভয় পেল যে তারা নিজেদের সাথে ফিসফিস করে কথা বলতেও সাহস করল না। জঙ্গলের গভীরতম স্থানে এসে তারা বুঝতে পারল তাদেরকে হত্যা করার জন্য এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা শুধু কান্ন করছে। আর তাদের পায়ের উপর পড়ে জীবন ভিক্ষা চাইছে।
তারা এত কাতর স্বরে কান্না করছিল আর জীবন ভিক্ষা করছিল , তাদের মধ্যে একজন , যার অন্তর অপরজন থেকে কিছুটা উদার, তার কিছু দয়া হল। এ বাচ্চাগুলো নিয়ে যে নিষ্ঠুর কাজটা করতে যাচ্ছিল তা ভেবে তার মনে কিছুটা দুঃখ অনুভুত হল। কিন্তু তার সাথী ছিল খুবই নিষ্ঠুর। সে তাদের জীবন বাঁচানোর প্রস্তাবে রাজী হল না। তাদের কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে ভয়াভহ রুপ ধারন করল। 'বোকামি করোনা, চল তাদের হত্যা করি। না হলে আমরা আমাদের প্রাপ্য পুরষ্কার কিন্তু পাবো না।
তারা এত কাতর স্বরে কান্না করছিল আর জীবন ভিক্ষা করছিল , তাদের মধ্যে একজন , যার অন্তর অপরজন থেকে কিছুটা উদার, তার কিছু দয়া হল। এ বাচ্চাগুলো নিয়ে যে নিষ্ঠুর কাজটা করতে যাচ্ছিল তা ভেবে তার মনে কিছুটা দুঃখ অনুভুত হল। কিন্তু তার সাথী ছিল খুবই নিষ্ঠুর। সে তাদের জীবন বাঁচানোর প্রস্তাবে রাজী হল না। তাদের কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে ভয়াভহ রুপ ধারন করল। 'বোকামি করোনা, চল তাদের হত্যা করি। না হলে আমরা আমাদের প্রাপ্য পুরষ্কার কিন্তু পাবো না।
জঙ্গলের শিশুরা-০৩
এভাবেই তাদের অর্থ সম্পদ সে তার নিজের করে ফেলল।
বসন্তের শেষ দিকের এক রাত। সে দু 'জন ডাকাত ডেকে পাঠাল যারা ছিল খুবই কুখ্যাত এবং নিষ্টুর এবং সাহসী। পরবর্তী দিন সে এ দুজন বাচ্চাকে দুরের কোন জঙ্গলে নিয়ে মেরে ফেলতে বলল। এবং বলল ফিরে আসলে প্রচুর অর্থ দেয়া হবে। ডাকাতরা এ প্রস্তাবে খুব খুশি হল। এত সহজে আর তারা কখনও আয় করেনি। শেষ রাত র্পযন্ত তারা একসাথে ড্রিন্ক করল।
পরবর্তী সকালে দুষ্ট চাচাটি বাচ্চারা যেখানে শুয়েছিল সেখানে খুব সকালে এসে হাজির হয়ে গেল। উঠ বাবারা আর তাড়াতাড়ি কাপড় চোপড় পড়ে নাও। আজ সকালে আমার দু বন্ধু তোমাদের জঙ্গল দেখাতে নিয়ে যাবে। তোমরা সেখানে অনেক মজা করবে।
কিন্তু আমরাতো এখনও আমাদের নাস্তাও সারিনি। আমরা খুবই ক্ষুধার্ত। ছোট্ট মেয়েটি কান্নার স্বরে বলল। মনে হল কাল রাতেও খাবার ঠিক মত হয়নি।
তারা যখন বড় হল ঘরটিতে আসল তখন বিশ্রী লোক দুটি ওখানে অপেক্ষা করছিল। এ বিশ্রী, বেঢপ লোকগুলো আমার খুবই অপছন্দ। তারা আমাকে ভয় দেখায়। বলল ছোট্ট মেয়েটি।
সে কান্না করতে শুরু করল। কিন্তু দুষ্টু চাচা তাদের কান্নার এবং কথার কোন মূল্য রাখল না। ডাকাতরা তাদের হাত ধরে টেনে গভীর জঙ্গলের দিকে নিয়ে গেল।
বসন্তের শেষ দিকের এক রাত। সে দু 'জন ডাকাত ডেকে পাঠাল যারা ছিল খুবই কুখ্যাত এবং নিষ্টুর এবং সাহসী। পরবর্তী দিন সে এ দুজন বাচ্চাকে দুরের কোন জঙ্গলে নিয়ে মেরে ফেলতে বলল। এবং বলল ফিরে আসলে প্রচুর অর্থ দেয়া হবে। ডাকাতরা এ প্রস্তাবে খুব খুশি হল। এত সহজে আর তারা কখনও আয় করেনি। শেষ রাত র্পযন্ত তারা একসাথে ড্রিন্ক করল।
পরবর্তী সকালে দুষ্ট চাচাটি বাচ্চারা যেখানে শুয়েছিল সেখানে খুব সকালে এসে হাজির হয়ে গেল। উঠ বাবারা আর তাড়াতাড়ি কাপড় চোপড় পড়ে নাও। আজ সকালে আমার দু বন্ধু তোমাদের জঙ্গল দেখাতে নিয়ে যাবে। তোমরা সেখানে অনেক মজা করবে।
কিন্তু আমরাতো এখনও আমাদের নাস্তাও সারিনি। আমরা খুবই ক্ষুধার্ত। ছোট্ট মেয়েটি কান্নার স্বরে বলল। মনে হল কাল রাতেও খাবার ঠিক মত হয়নি।
তারা যখন বড় হল ঘরটিতে আসল তখন বিশ্রী লোক দুটি ওখানে অপেক্ষা করছিল। এ বিশ্রী, বেঢপ লোকগুলো আমার খুবই অপছন্দ। তারা আমাকে ভয় দেখায়। বলল ছোট্ট মেয়েটি।
সে কান্না করতে শুরু করল। কিন্তু দুষ্টু চাচা তাদের কান্নার এবং কথার কোন মূল্য রাখল না। ডাকাতরা তাদের হাত ধরে টেনে গভীর জঙ্গলের দিকে নিয়ে গেল।
জঙ্গলের শিশুরা-০২
আমার সন্তানদের ভরন পোষনের জন্য আমার যথেষ্ট সম্পদ আছে। তাদের প্রয়োজনের জন্য আমি যথেষ্ট সঞ্চয় করেছি। আমি তাদের তোমার কাছে রেখে যাচ্ছি। কারণ তুমিই এখন তাদের খুব কাছের একমাত্র আত্নিয়। তাদের লালন পালন করিও। আমি তোমার কাছে আমার এ আবেদন রাখছি। যখন বড় হবে আমার ছেলে এ প্রাসাদটা বুঝিয়ে দেবে আর যথেষ্ট অর্থ দেবে যাতে পুরো এলাকাটা সে দেখাশুনা করতে পারে।
এবং আমার মেয়েটাও যাতে যথেষ্ট অর্থ পায়।
হে আমার প্রিয় ভাই আমি তোমাকে বলছি এর সবকিছু বুঝে নিতে তত দিন র্পযন্ত যতদিন না তারা যথেষ্ট বড় হচ্ছে।
এবং আমার মেয়েটাও যাতে যথেষ্ট অর্থ পায়।
হে আমার প্রিয় ভাই আমি তোমাকে বলছি এর সবকিছু বুঝে নিতে তত দিন র্পযন্ত যতদিন না তারা যথেষ্ট বড় হচ্ছে।
জঙ্গলের শিশুরা-০১
একদা এক সময় এক জ্ঞানী লর্ড ও এক সুন্দর রমনী বাস করত। তাদের প্রিয় দুটি শিশু ছিল। চমৎকার এক ছেলে আর সুন্দর এক মেয়ে। তাদের পরিবারটা ছিল দেশে সুখী পরিবারগুলোর একটি । কারণ তারা একে অপরকে খুবই ভালবাসতো, তাদের পিতামাতা ছিল দয়ালু, ভদ্র এবং তাদের সন্তানদেরও তাই শিক্ষা দিয়েছিল।
কিন্তু খুব শিগ্রই তাদের এ সুখী পরিবারে র্দুভাগ্য নেমে এল।
প্রথমে তাদের মা মারা গেল যেটা ছিল সন্তানদের জন্য বড় রকমের একটা আঘাত। এবং তার কিছুদিন পর যখন ছেলেটার বয়স মাত্র পাঁচ বছর এবং মেয়েটা মাত্র একবছর ছোট , তাদের বাবাকেও নিয়ে গেল পরপারে।
যখন ভাল মানুষটি বুঝতে পারলো তার সময় পুরিয়ে এসেছে সে তার ভাইকে খবর পাঠালো আর তাকে তার বিছনার পাশে নিয়ে বলল:
প্রিয় ভাই, আমি মারা যাচ্ছি। কয়েক ঘন্টার মধ্যে অথবা খুব বেশি হলে কয়েক দিন, আমার এ ছোট্ট শিশুরা এই পৃথিবীতে একা হয়ে যাবে।
কিন্তু খুব শিগ্রই তাদের এ সুখী পরিবারে র্দুভাগ্য নেমে এল।
প্রথমে তাদের মা মারা গেল যেটা ছিল সন্তানদের জন্য বড় রকমের একটা আঘাত। এবং তার কিছুদিন পর যখন ছেলেটার বয়স মাত্র পাঁচ বছর এবং মেয়েটা মাত্র একবছর ছোট , তাদের বাবাকেও নিয়ে গেল পরপারে।
যখন ভাল মানুষটি বুঝতে পারলো তার সময় পুরিয়ে এসেছে সে তার ভাইকে খবর পাঠালো আর তাকে তার বিছনার পাশে নিয়ে বলল:
প্রিয় ভাই, আমি মারা যাচ্ছি। কয়েক ঘন্টার মধ্যে অথবা খুব বেশি হলে কয়েক দিন, আমার এ ছোট্ট শিশুরা এই পৃথিবীতে একা হয়ে যাবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)