Great Stories in easy English
Robinson Crusoe
Daniel Defoe
Abridged and simplified by
S.E. PACES
অধ্যায়-০৪
দশ মাস যাবৎ আমি
দ্বীপে অবস্থান করছিলাম। একদিন আমার গায়ে জ্বর আসল। আবহাওয়া ছিল গরম কিন্তু আমি
ঠান্ডায় কাঁপছিলাম। আমি এত দূর্বল ছিলাম যে খাবারের জন্য বেরুতে পারছিলাম না।
আমাকে সাহায্য করার মতও কেউ নেই। আর আমার কোন ওষুধও নেই। আমি এত ক্ষীণ ও দূর্বল
হয়ে পড়েছিলাম যে, আমার মনে হচ্ছিল আমি হয়ত মারা যাব। যা হউক আমি মারা যাইনি। আস্তে
আস্তে আমি আবার আমার শক্তি ফিরে পাই। আমাকে আবার সুস্থ করার জন্য সৃষ্টিকর্তাকে
ধন্যবাদ জানাই।
যখন আমি সম্পূর্ণ
সুস্থ হয়ে পড়লাম আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে দ্বীপের বাকী অংশটাও আমি দেখে নেব। আমি
ছোট একটি খাল অনুসরণ করলাম যেখানে আমার প্রথমে মালপত্র নামিয়েছিলাম। কিছুদুর গিয়ে
আমি কিছু পাহাড়ি আঁখ দেখলাম। সেখানে আমি কিছু আঙুরও পেলাম। বেশ কিছু আমি খেয়ে
নিলাম। আর কিছু আমি আমার ঝুড়িতে নিলাম। আমি চিন্তা করলাম এগুলো শুকিয়ে নেব। আমি
জানি আঙুর শুকাল কিসমিস হয়ে যায়। আর এগুলো খুব ভালো খাবার।
সে রাতে আমি একটি গাছে
ঘুমালাম।
পরদিন আমি আবার যাত্রা শুরু করলাম। বেশ সুন্দর একটা স্থান আমি পেয়ে গেলাম। সেখানে কিছু কমলা এবং লেবু গাছ দেখতে পেলাম। চারদিকে উজ্জল ফুল ফুটে আছে। এখানে সেখানে নানা রঙের পাখি উড়ে বেড়াচ্ছিল। এত সুন্দর দৃশ্য দেখে আমার মন ভরে গেল। আমি নিজেকে এই দ্বীপের রাজা ভাবতে শুরু করলাম। অবশ্য আমি এই দ্বীপটির রাজাই ছিলাম। তারপর আমার দু:খের কথাটা মনে হলো। আমি এখানে একেবারে একা। এখানে কেউ নেই যার সাথে আমি আমার সুখ ভাগ করতে পারি।
পরদিন আমি আবার যাত্রা শুরু করলাম। বেশ সুন্দর একটা স্থান আমি পেয়ে গেলাম। সেখানে কিছু কমলা এবং লেবু গাছ দেখতে পেলাম। চারদিকে উজ্জল ফুল ফুটে আছে। এখানে সেখানে নানা রঙের পাখি উড়ে বেড়াচ্ছিল। এত সুন্দর দৃশ্য দেখে আমার মন ভরে গেল। আমি নিজেকে এই দ্বীপের রাজা ভাবতে শুরু করলাম। অবশ্য আমি এই দ্বীপটির রাজাই ছিলাম। তারপর আমার দু:খের কথাটা মনে হলো। আমি এখানে একেবারে একা। এখানে কেউ নেই যার সাথে আমি আমার সুখ ভাগ করতে পারি।
পরবর্তি মাসটা ছিল
আমার দ্বীপ জীবনের সবচেয়ে খারাপ মাস। প্রতিদিন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি ঘর ছেড়ে
কোথাও বের হতে পারছিলাম না। খাবারের খোঁজে আমি কোথাও যেতে পারছিলাম না। শুধু জাহাজ
থেকে আনা কিছু শুকনো খাবার আর শুকনো আঙুর খেয়ে দিন পার করছিলাম।
নিজেকে কাজে ব্যস্ত
রাখতে পেরে আনন্দ লাগছিল। আমি কিছু পাত্র বানানোর চেষ্টা করলাম। কাজটি ছিল খুবই
কঠিণ। বার বার ব্যর্থ হচ্ছিলাম। আমার অনেকগুলো পাত্র ভেঙে টুকরো হয়ে গিয়েছিল।
অবশেষে প্রায় দু’মাস চেষ্টার পর আমি সফল হলাম। আমি কিছু পাত্র, পেয়ালা আর বড়
বিশ্রী দুটি জিনিস তৈরী করলাম। যেগুলোকে আমি কষ্ট করে কলসও বলতে পারি। এভাবেই আমি
তৈরী করেছিলাম।
প্রথমে কাদা দিয়ে কলসের
একটা আকার বানালাম। তারপর সেগুলোকে আগুন জ্বালিয়ে তার উপর বসালাম। আগুনের লাল হওয়া
পর্যন্ত আমি জারগুলোকে তাপ দিলাম। পাচঁ ছয় ঘন্টা পর আমি আগুনের আচ কমিয়ে দিলাম। এগুলোকে
পাহাড়া দেওয়ার জন্য আমি সারারাত জেগে কাটালাম। সকালে জারগুলোকে শক্ত এবং মজবুত হতে
দেখে আমি খুব খুশী হলাম। সেগুলো গরম থাকা অবস্থাতেই আমি জারগুলোর মধ্যে রান্না
করতে বসে গেলাম।
প্রবল বৃষ্টি থেমে
গেলে আমি আমার তাবুর সামনে এক অদ্ভুদ জিনিস দেখলাম। কিছু ইংলিশ গম সেখানে জন্মাতে
শুরু করেছে! আমি খুবই অবাক হলাম এগুলো এখানে আসল কি করে? তারপর আমি স্মরণ করলাম।
আমি জাহাজ থেকে কিছু পুরাতন ব্যাগ এনেছিলাম। সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল গমের ব্যাগ।
ব্যাগগুলো পরিষ্কার করার জন্য বাইরে এনে যখন আমি ঝাঁকিয়েছিলাম তখন হয়ত কিছু
অবশিষ্ট গম এখানে পড়েছিল। ভারি বৃষ্টির পড় সেগুলো থেকে এখন অংকুর উৎপন্ন হয়েছে।
আমি ডজন খানেক চারাগাছ দেখতে পাচ্ছি। সেগুলোকে আমি যত্ন করে লালন করেছিলাম। এখন
আমি আমি নিজের গাছের রুটি খেতে পারি। প্রথম যখন এ গম দিয়ে রুটি বানিয়েছিলাম তখন কি
স্বাদই না হয়েছিল! কি গর্ব বোধই না আমি করেছিলাম!
Tenders And Consulting Opportunities in
ReplyDeleteBangladesh.www.bdtender.com একটি অনলাইন টেন্ডার/দরপত্র বিজ্ঞপ্তি পরিসেবা পোর্টাল। যেখানে বাংলাদেশের প্রায় সকল টেন্ডার/দরপত্রের (সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থা থেকে প্রকাশিত) সাম্প্রতিক তথ্য প্রদান করা হয়। প্রায় ২০০০ নিবন্ধিকৃত সদস্যদেরকে নিয়মিতভাবে ইমেইলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
দেশের সকল জাতীয় এবং আঞ্চলিক দৈনন্দিন সংবাদপত্র, প্রায় ৫৭ টি কাগজ এবং ২৫০টি ওয়েবসাইট থেকে টেন্ডার/দরপত্র সংগ্রহ করা হয়। সেইসাথে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা, এনজিও এবং বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা,তাদের প্রয়োজনীয় টেন্ডার/দরপত্র বিজ্ঞপ্তি সমূহ এই সাইটে প্রকাশ করে থাকে।
বাংলাদেশে www.bdtender.com‘ই প্রথম টেণ্ডার নটিফিকেসান সার্ভিস চালু করেছে । আপনি এখন্ আর দশ, পনের, বিশটি পত্রিকা কেনার প্রয়োজন নেই । দেশের সকল পত্রিকার টেণ্ডার/দরপত্র গুলি একত্র করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দিয়েছে তাতে আর আপনাকে বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবেনা এবং আপনার আর কষ্ট করে সব গুলি টেণ্ডার/দরপত্র দেখতেও হবে না । শুধু ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে দিলেই আপনার কাঙ্ক্ষিত টেণ্ডার/দরপত্র টি ই- মেইল এলার্টের মাধ্যমে আপানার কাছে পোঁছে যাবে ।
আজই রেজিস্ট্রেশান করুন ! আপানার মূল্যবান সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচান এবং নিরাপদ থাকুন।