Great Stories in easy English
Robinson Crusoe
Daniel Defoe
Abridged and simplified by
S.E. PACES
অধ্যায়-০৩
অবশেষে আমার কুঁড়ে ঘর
তৈরী করার জন্য সুবিধাজনক একটি স্থান আমি পেয়ে গেলাম। এটা ছিল পাহাড়ের পাশে ছোট্ট
একটি সমতল স্থান। পাহাড়ের দিকে একটা গুহাও আছে এটার এক পাশে। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম
এই গুহাটি হবে আমার গুদাম ঘর। গুদাম ঘরের সামনে আমি একটি তাবু খাটিয়ে বাস করব।
তাবুটি জাহাজের পাল থেকে তৈরি করা যাবে। আমি সেটাই করলাম। তারপর আমি আমার ঘরের
চারপাশে বেড়া দিয়ে দিলাম। এভাবে আমি নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ করলাম।
আমি আমার সমস্থ জিনিস
এখানে নিয়ে আসলাম। আমি সেগুলো আমার গুদাম ঘরে রাখলাম। আমি বোর্ড দিয়ে কিছু তাক
বানিয়েছিলাম।
এই কাজটি করতে আমার
অনেক দিন লেগেছিল। যখন আমি কাজ করছিলাম, ভাবলাম কিভাবে দিনগুলো পার হয়ে যাচ্ছে।
দিনগুলোর পার হওয়াটা আমাকে চিহ্নিত করে রাখার কোন উপায় বের করতে হবে। আমি একটি
পোষ্ট তৈরি করলাম। আর সেটা মাটিতে পুতে দিলাম। তারপর বড় বড় অক্ষরে সেখানে লিখলাম:
এই দ্বীপে আমি এসেছি
৩০ সেপ্টেম্বর, ১৬৫৯।
প্রতিদিন ছুড়ি দিয়ে
সেখানে আমি একটা দাগ কাটি। প্রতি রবিবারে আমি একটু লম্বা দাগ টানি। প্রতি মাসের
প্রথম দিন আমি সবচেয়ে বড় দাগটি দিই। এটাই আমার দিনপঞ্জী।
আমার নিজেকে নিয়ে আমি সুখ
অনুভব করলে লাগলাম। কোন একটি জিনিস তৈরী করতে পারলে আমার খুবই আনন্দ লাগত। বসার
জন্য আমি একটি চেয়ার বানালাম। আর খাওয়ার জন্য বানালাম একটি টেবিল। আমি একটি বাতিও
বানালাম। এই জিনিসটা আমার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। বাতি ছাড়া আমি সন্ধ্যার পর কাজ
করতে পারতাম না। অন্ধকারের কারণে আমাকে তাড়াতাড়ি বিছনায় যেতে হতো। তাই আমি বাতিটা
বানালাম।
এই ভাবেই আমি বাতিটা
বানালাম। যখন আমি মাংসের মধ্যে চর্বি পেতাম তখন আমি তা জমিয়ে রাখতাম। তারপর আমি
মাটি দিয়ে একটি ছোট কাপ বানিয়ে সেটাকে রোদে শুকিয়ে নিলাম। কাপটি আমি চর্বি দিয়ে
পূর্ণ করলাম। এটাই আমার বাতি। এটা সন্ধ্যার সময় আমার কুঁড়ে ঘরটাকে আলোকিত করত।যদিও খুব অল্প
পরিমানে আলো হতো সেখানে।
No comments:
Post a Comment