The Fire On The Mountain Top


পর্বতে আগুন


 

আফ্রিকার একটি দেশের নাম ইথওপিয়া। সেই ইথওপিয়ার দূরের এক গ্রামে বাস করত আরহা। তার বাবা মা ছিল খুবই দরিদ্র। তারা তাদের সন্তান আরহাকে খাওয়াতে পারত না। গ্রামে তেমন কোন কাজ ছিল না। তাই একদিন আরহা তার জিনিস পত্র গুছিয়ে রাজধানী শহর আদ্দিস আবাবাতে ছুটল কাজের খোঁজে।

শীঘ্রই সে হেমপটন হেসি নামক এক শক্তিশালী লোকের কাছে চাকরি পেয়ে গেল। হেমপটন ছিল খুব ধনী। কিন্তু সে তাতে সন্তুষ্ট ছিল না। টাকা দিয়ে সুখ  ও তৃপ্তি পাওয়া যায় না। সে ছিল খুব বিরক্ত এবং অসন্তুষ্ট। তার কিছু আনন্দের প্রয়োজন ছিল। এতে অন্যের অসুবিধা হলেও হউক। তাতে কিছু যায় আসে না।

এক শীতের রাতে পাহাড় থেকে তীব্র ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছিল। হেমপটন আরহাকে আদেশ দিল আগুন জ্বালানোর জন্য কিছু কাঠ নিয়ে আসতে।

The wise men of Gotham


The wise men of Gotham


Retold from ‘ The merry tales of the men of Gotham’

 

গোথামের জ্ঞানীরা

অনেক অনেক দিন আগে, নটিংহামের একটি গ্রাম গোথাম। এখানকার লোকেরা তাদের বোকামির জন্য বিখ্যাত ছিল। তারা যা কিছুই করত তাই বোকামিতে পূর্ণ ছিল। সারাবিশ্ব তাদের এই বোকামির জন্য হাসি ঠাট্টা করত। এসব বোকামির কারণে তারা ‘গোথামের জ্ঞানী’ বলে পরিচিত হয়েছিল।

তাদের বোকামির একটা গল্প বলি।

গোথামের এক লোক বাজারে যাচ্ছে ভেড়া কিনতে। নটিংহাম ব্রিজের উপর তার সাথে দেখা আরেক লোকের। লোকটি বাজার থেকে ভেড়া কিনে ফিরছিল।

‘কি খবর!’ একে অপরকে জিজ্ঞাসা করল।

‘কোথায় যাচ্ছ তুমি?’ বাজার থেকে যে ফিরছিল সে জিজ্ঞাসা করল।

‘নটিংহাম মার্কেটে। ভেড়া কিনব।‘ লোকটি উত্তর দিল।

‘ভেড়া কিনতে!’ অবাক হল লোকটি। একটু চিন্তা করল।

তারপর বলল, ‘কিন্তু আমাকে বলত, কোন পথ দিয়ে তুমি বাড়ি ফিরবে?’

‘কেন? এই ব্রিজের উপর দিয়েই।‘ যে বাজারে যাচ্ছিল সে উত্তর দিল।

Robinson Crusoe-04

Robinson Crusoe-04

Great Stories in easy English
Robinson Crusoe
Daniel Defoe
Abridged and simplified by

S.E. PACES

অধ্যায়-০৪

দশ মাস যাবৎ আমি দ্বীপে অবস্থান করছিলাম। একদিন আমার গায়ে জ্বর আসল। আবহাওয়া ছিল গরম কিন্তু আমি ঠান্ডায় কাঁপছিলাম। আমি এত দূর্বল ছিলাম যে খাবারের জন্য বেরুতে পারছিলাম না। আমাকে সাহায্য করার মতও কেউ নেই। আর আমার কোন ওষুধও নেই। আমি এত ক্ষীণ ও দূর্বল হয়ে পড়েছিলাম যে, আমার মনে হচ্ছিল আমি হয়ত মারা যাব। যা হউক আমি মারা যাইনি। আস্তে আস্তে আমি আবার আমার শক্তি ফিরে পাই। আমাকে আবার সুস্থ করার জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই।

যখন আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে পড়লাম আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে দ্বীপের বাকী অংশটাও আমি দেখে নেব। আমি ছোট একটি খাল অনুসরণ করলাম যেখানে আমার প্রথমে মালপত্র নামিয়েছিলাম। কিছুদুর গিয়ে আমি কিছু পাহাড়ি আঁখ দেখলাম। সেখানে আমি কিছু আঙুরও পেলাম। বেশ কিছু আমি খেয়ে নিলাম। আর কিছু আমি আমার ঝুড়িতে নিলাম। আমি চিন্তা করলাম এগুলো শুকিয়ে নেব। আমি জানি আঙুর শুকাল কিসমিস হয়ে যায়। আর এগুলো খুব ভালো খাবার।

সে রাতে আমি একটি গাছে ঘুমালাম।
পরদিন আমি আবার যাত্রা শুরু করলাম। বেশ সুন্দর একটা স্থান আমি পেয়ে গেলাম। সেখানে কিছু কমলা এবং লেবু গাছ দেখতে পেলাম। চারদিকে উজ্জল ফুল ফুটে আছে। এখানে সেখানে নানা রঙের পাখি উড়ে বেড়াচ্ছিল। এত সুন্দর দৃশ্য দেখে আমার মন ভরে গেল। আমি নিজেকে এই দ্বীপের রাজা ভাবতে শুরু করলাম। অবশ্য আমি এই দ্বীপটির রাজাই ছিলাম। তারপর আমার দু:খের কথাটা মনে হলো। আমি এখানে একেবারে একা। এখানে কেউ নেই যার সাথে আমি আমার সুখ ভাগ করতে পারি।


তিন দিন ভ্রমণ করার পর আমি আমার তাবুতে ফেরার চিন্তা করলাম।